IT-NEWS

তারিখঃ ০৮ মে ২০১৯

ডিজাইনারদের জন্য নভেম্বর-ডিসেম্বরে বায়ার ধরার স্পেশাল টিপস



এ দু’মাসেই বছরের সবচেয়ে বেশি ইনকামের পরিকল্পনা করে সবাই। কারণ এ দু’মাসে আমেরিকা এবং ইউরোপের রাস্ট্রগুলো সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে। তাই আপনাদেরও উচিত, সেই অর্থের কিছু অংশ নিজের পকেটে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা।
বাজারের অবস্থা বুঝে মার্কেটিং করতে হয়। এ দু’মাসের মার্কেটের অবস্থা বুঝে মার্কেটিং পরিকল্পনা সাজিয়ে মার্কেটিং করুন। আগামী দু’দিন এ পরিকল্পনাটা তৈরি করে ফেলুন।
এরপর ঝাপিয়ে পড়ুন। নভেম্বর ২০-২৮ তারিখ সবচেয়ে বেশি আপনাদের ডিমান্ড থাকবে। সারামাসেই ডিমান্ড থাকবে। কিন্তু ২০-২৮ তারিখ বেশি থাকবে।
আপনার পরিকল্পনাগুলো সাজাতে কিছু আইডিয়া দিচ্ছি, যা পরিকল্পনা করতে সহযোগীতা করবে।
♦ কারা হতে পারে এ দু’মাসে আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট?
- মনে রাখবেন এ দু’মাসে নতুন করে বিজনেস স্টার্ট করবে এ টাইপ ক্লায়েন্টের সংখ্যা কমে যাবে। কারণ এ দু’মাসে বিজনেস করার টার্গেট করেই জুলাই, আগস্টের দিকে নতুন বিজনেসগুলোর জন্ম হয়ে যায়। তাই নতুন বিজনেস স্টার্টে যা যা ডিজাইন দরকার। এ টাইপ ডিজাইনে কাজের চাহিদা কম থাকবে। অর্থাৎ লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন এগুলোর চাহিদা কম থাকবে।
- এ সময়ে সকল বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি বৃদ্ধির জন্য আলাদাভাবে মার্কেটারদের হায়ার করে। সেই মার্কেটাররা এ মাসে সেল বুস্ট করার জন্য সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করার জন্য লোক খুঁজে থাকে। তাই সেই সব মার্কেটারদের টার্গেট করেই আপনার মার্কেটিং পরিকল্পনা সাজাতে হবে। মার্কেটাররা কোথায় অবস্থান করে সেই সব জায়গাতে আপনার বায়ার খুঁজতে হবে এবং সেই সঙ্গে সেই সব মার্কেটারদের অ্যাটেনশন তৈরির পরিকল্পনা করতে হবে।
- বছরের এ দু’মাসটাতেই সবচেয়ে বেশি উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তাই উপহার দেওয়ার মত আইটেম ডিজাইন করার পরিকল্পনা করতে হবে। এবং এগুলোর সম্ভাব্য ক্রেতাদের বিশাল বাজার থেকে নির্দিষ্ট একটা ক্রেতা শ্রেণীকে টার্গেট করে আপনার মার্কেটিং পরিকল্পনা সাজানো জরুরী।
- মার্কেটপ্লেসগুলোতেও এ সময় প্রমোশনাল ডিজাইন কিংবা গিফট ডিজাইন টাইপ ইমেজের চাহিদা বেড়ে যাবে। তাই এ টাইপ ডিজাইনে আপনার দক্ষতা প্রকাশ করার মত বিষয়গুলো নিয়ে আাপনার মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল রেডি করুন। আর ফাইভারে গিগ তৈরির ক্ষেত্রেও এ টাইপ গিগ প্রস্তুত করুন। প্রমোশনাল ইমেজের গিগ তৈরি করলে, সেখানে ব্লাক ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে ডিসকাউন্ট অফার, এ টাইপ ডিজাইনগুলো গিগ ইমেজ গ্যালারীতে রাখুন। এটুকুই চেষ্টা করুন, ভাল কিছু বায়ার ধরতে পারবেন। হয়ত, এ বায়াররাই পরে সারা বছরের জন্য আপনার বায়ার হয়ে যাবে।
♦ প্রমোশনের জন্য কিছু আইডিয়া শেয়ার
- পিন্টারেস্টে বিভিন্ন প্রোডাক্টের ডিসকাউন্ট অফার টাইপ ডিজাইনগুলো করে সেগুলো বেশি বেশি আপলোড করুন।
- ইউটিউবের জন্য ডিসকাউন্ট অফার টাইপ ডিজাইনের এবং গিফট আইটেম টাইপ ডিজাইনের টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
- নিজের করা বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার টাইপ ডিজাইন এবং গিফট আইটেম টাইপ ডিজাইনগুলো নিয়ে ইমেজ পোর্টফলিও তৈরি করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন।
- বিভিন্ন মার্কেটারদের আড্ডাতে ডিজাইনার হিসেবে আপনার স্কীলের প্রতি অ্যাটেনশন তৈরির জন্য কোন উদ্যোগ নিতে পারেন। অ্যাটেনশন তৈরি করতে গিয়ে বিরক্তি যাতে তৈরি না হয়, সেদিকটাতে নজর রাখা জরুরী।
- বিভিন্ন গেস্ট ব্লগিং সাইটের জন্য মার্কেটারদের অ্যাটেনশন পাওয়ার মত করে কোন আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে পারেন। আজকের মতো এটুকু টিপস দিয়ে শেষ করলাম। এবার মাথা খাটিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন।


তারিখঃ ০৮ মে ২০১৯

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন সুযোগ



ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশীয় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। আর এজন্য ‘ডিজিটাল নিঞ্জা’ নামে নতুন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে অপারেটরটি। আনুষ্ঠানিক আয়োজনে এর উদ্বোধন করবেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।
কোডার, ইউআই, ইউএক্স, অ্যাপ ডেভেলাপরসহ বিভিন্ন স্কিলের ফ্রিল্যান্সাররা নিবন্ধন করবেন ডিজিটাল নিঞ্জায়। ‘নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সাররা গ্রামীণফোনের বিভিন্ন প্রকল্পে অংশীদার হতে পারবেন। এটি নতুন ধরনের আর্নিং সোর্স, স্কিল সোর্সিংয়ের ক্ষেত্র তৈরি করবে’, বলছিলেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, স্বাভাবিকভাবেই ফ্রিল্যান্সাররা স্থায়ী কর্মী হবেন না, তারা আসবে প্রকল্প হিসেবে। কারণ যারা ফ্রিল্যান্সার তারা অনেকেই চান না কোনো কোম্পানির স্থায়ী জব করতে। তারা নিজের মতো প্রকল্পগুলোতে কাজ করবে।
আগে নানা কারণে এটা করা যেত না, এখন এ ফ্লেক্সিবল মডেলে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। টেলিকম খাতের মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করেন এমন অনেকেই বলছেন, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটি সুখবর হলেও অপারেটরটির এ আউটসোর্সিং মডেল তার স্থায়ী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। এসব প্রকল্পে আগে যেমন স্থায়ী কর্মীরা সুযোগ পেত সেটি হয়ত আর থাকবে না। আবার নিয়মিত অনেক কাজও আউটসোর্সিংয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। -আইটি ডেস্ক


তারিখঃ ০৮ মে ২০১৯

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে উপার্জন বাড়ানোর কৌশল


বর্তমান সময়ে গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে কম বেশি সবাই পরিচিত। মূলত অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এই গুগল অ্যাডসেন্স।
অ্যাডসেন্সের নিয়মকানুন এবং গাইডলাইন সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সহজেই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভড করে সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন শো করিয়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন করতে সক্ষম হলেও আয় বৃদ্ধি করতে পারে না অনেকেই। গুগল অ্যাডসেন্স আয় বৃদ্ধি না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর সঠিক ব্যবহার করতে না পারা।
আজকের আয়োজনে গুগল অ্যাডসেন্স কী? কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধি করা যায়।
গুগল অ্যাডসেন্স
গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশীদারি প্রকল্প যার মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর বা স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আর গুগল অ্যাডসেন্স বর্তমান সময়ের অত্যন্ত কার্যকরী ও বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে বিশ্বের বড়-বড় ব্লগার ও ওয়েব মাস্টাররা তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে টাকা আয় করে থাকেন। গুগল তাদের বার্ষিক আয়ের বড় একটি অংশ গুগল অ্যাডসেন্স থেকে করে থাকে।
কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স কাজ করে
প্রথমে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে এবং আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।
কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করে তাহলে আপনে প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন। এ ছাড়া শুধু মাত্র আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি অল্পকিছু পরিমাণ টাকা পাবেন।
আর এই বিজ্ঞাপনগুলো গুগল তাদের আরেকটি প্রোগ্রাম গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকে।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধির কৌশল
গুগল অ্যাডসেন্সের পলিসি সঠিকভাবে অনুসরণ
অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা ভাবেন না। হয়তো মনে করেন এটি ব্লগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। গুগল অ্যাডসেন্সের গাইডলাইন অনুসরণ না করে কোনো কিছু করলে আয় বৃদ্ধির হওয়ার পরিবর্তে যে কোনো সময় আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। গুগল অ্যাডসেন্সের প্রধান কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরলাম।
* নিজের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা। * Paid Traffic বা Clicking ব্যবহার না করা। * IP Address পরিবর্তন বা গোপন করে বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা। * অন্যকে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে উৎসাহিত না করা।
সঠিক জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসান
গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে করে ভিজিটররা খুব সহজে অ্যাড-টি দেখতে পায়। আর এই পদ্ধতিটাই ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক হওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি করবে Google Adsense সবসময় কনটেন্ট Related বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, কাজেই যখন পাঠক সহজে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে তখন ওই জিনিসটা তার প্রয়োজন পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সে তার প্রয়োজনে অবশ্যই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। তবে ব্লগের কনটেন্ট Area-এর ভেতরে অধিক পরিমাণে বিজ্ঞাপন বসানো থেকে বিরত থাকবেন।
ব্লগের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করা
একটি দ্রুতগতির ব্লগ ভিজিটর এবং বিজ্ঞাপন ক্লিক দুটিই বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। ব্লগ যদি খুব ধীরগতির হয় তাহলে কোনোভাবেই ভিজিটর এবং পেজ ভিউ পাওয়া যায় না। কারণ ব্লগ যদি লোড নিতে বেশি সময় নেয় তাহলে ভিজিটররা বিরক্ত বোধ করবে এবং আপনার ব্লগ থেকে বেরিয়ে যাবে।
অন্যান্য বিজ্ঞাপন বাদ দেয়া
গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন থেকে আয় বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই অ্যাডসেন্স থেকে কম গুরুত্ব বহন করে এমন সব বিজ্ঞাপন পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগের Load Time অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে।
অধিকন্তু গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে আপনি যদি অন্য কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই সেটি জবসড়াব করবেন। তা না হলে কোনোভাবে Adsense টিম আপনার আবেদন অনুমোদন করবে না।
অরিজিনাল ও কোয়ালিটি কন্টেন্ট লেখা
অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে ভিজিটরের চাহিদা মাফিক অরিজিনাল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট নিয়মিত ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা।
সে জন্য অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেন সাইটে কপি-পেস্ট কন্টেন্ট না দেয়া হয়। কোয়ালিটিসম্পন্ন কন্টেন্টে হাইপেয়িং বিজ্ঞাপনদাতাদের এডস আসে, যারা ক্লিকের জন্য বেশ ভালো সিপিসি দিতে আগ্রহী থাকে। বুঝতেই পারছেন অরিজিনাল এবং কোয়ালিটিসম্পন্ন পোস্ট লিখার গুরুত্ব কেমন।
সুতরাং অ্যাডসেন্স রেভিনিউ বৃদ্ধি করতে চাহিদা মাফিক কপি-পেস্টবিহীন কোয়ালিটি কন্টেন্ট পোস্ট করা উচিত।
নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা
ব্লগে প্রচুর পরিমাণে নিত্যনতুন ইউনিক ভিজিটর পেতে অবশ্যই নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। SEO অনুসরণ করে ব্লগে ভালোমানের কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে।
তবে মনে রাখতে হবে বেশি কনটেন্ট শেয়ার করতে গিয়ে কপি কনটেন্ট শেয়ার না হয়ে যায়। এতে করে আয় বৃদ্ধি হওয়ার পরিবর্তে Adsense অ্যাকাউন্ট হারাতে পারে।

No comments:

Post a Comment